বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করতে কি কি লাগে?
রপ্তানিকারক যা যা করবে
বাংলাদেশে থেকে রপ্তানি বাণিজ্য
একটি দেশের অর্থনীতি অনেকাংশে রফতানি বাণিজ্যের উপর নির্ভরশীল। তাই বাংলাদেশের সরকার রপ্তানিকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। যেহেতু রপ্তানি বিষয়টির সাথে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জড়িত, তাই রপ্তানিকারককে অনেক গুলো ধাপ অতিবাহিত করতে হয়। আর সে সকল বিষয়ে জানতে একজন নতুন রপ্তানিকারক বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর বাণিজ্য তথ্যকেন্দ্র বা ট্রেড ইনফরমেশন সেন্টারে (টিআইসি) যোগাযোগ করে সকল বিষয়ের তথ্য ও প্রযোজনীয় পরামর্শ পেতে পারেন।
রপ্তানি বাণিজ্যের ধাপ:
১. যে কোনো ব্যবসা শুরু করতে প্রথমে ট্রেড লাইসেন্স করা লাগবে।
২. স্বীকৃত চেম্বার/অ্যাসোসিয়েশন থেকে বৈধ মেম্বারশিপের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
৩. ট্রেজারি ফি জমা দিয়ে চালানের মূল কপি সংগ্রহ করতে হবে।
৪. যদি লিমিটেড কোম্পানি হয় তবে সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন ও মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন এর কপি লাগবে। আর যদি অংশীদারি প্রতিষ্ঠান হয় তবে রেজিস্টার্ড অংশীদারি দলিল এর কপি লাগবে।
এই সকল কাগজ সংগ্রহ করে আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে নাম নিবন্ধন করতে হবে, সেখান থেকে সার্টিফিকেট (ইআরসি) সংগ্রহ করে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। সেখান থেকে বিদেশি ক্রেতা ও পণ্যের তালিকা আপনি পেতে পারেন। শুধু তাই নয়, সেখান থেকে পণ্যের মূল্য সম্পর্কেও ধারণা পেতে পারেন।
রপ্তানি বাণিজ্যে সহায়তা:
এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোতে (ইপিবি) নামের একটি রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল রয়েছে। রপ্তানিকারকদের পণ্য উৎপাদন ও রফতানি সংক্রান্ত কাজের জন্য কম সুদে এখান থেকে ঋণ প্রদান করা হয়। পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও এখান থেকে পাওয়া যায়। এ ছাড়াও রপ্তানিপণ্যের ক্ষেত্রে ব্যাক টু ব্যাক এল সি খোলার জন্য সহায়তা করে থাকে। শাক, সবজি, ফুল, ফলের মতো কিছু সুবিধাপ্রাপ্ত পণ্য রয়েছে যা রপ্তানির ক্ষেত্রে বিমান ভাড়াতেও সুবিধা ভোগ করে।