করোনা ভাইরাসটি বাতাস বাহিত ?
“বায়ুবাহিত” শব্দের অর্থ বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্ন ভাবে বোঝায় এবং সেই বিভ্রান্তি দূর করতে হবে।
কোভিড -১৯ সৃষ্টিকারী জীবাণু জনস্বাস্থ্যের এক ভয়াবহ দুর্যোগের জন্য দায়ী হতে পারে, কিন্তু আল্লাহকে ধন্যবাদ জানান কমপক্ষে এটি বায়ুজনিত নয়। এই বার্তাটি এখন জনস্বাস্থ্য সম্পর্কে যারা একটু সচেতন তারা সবাই জানে। আমরা জানি যে সাবান এবং জলই সবচেয়ে ভাল সুরক্ষা প্রদান করতে পারি। ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ভালো মতো ধুয়ে এবং সারা দিন ধরে বহুবার পুনরাবৃত্তি করা হয়। ভাইরাসটি বায়ুবাহিত নয়, আপনি যখন পারেন তখন হাত ধোয়া চালিয়ে যান। সুতরাং আপনার হ্যান্ডশেক করা বন্ধ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সুতরাং আপনার আঙ্গুলগুলি আপনার মুখ থেকে দূরে রাখতে ভুলবেন না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ঘেরবাইয়াসাস কিছুদিন আগে টুইটারে মানুষকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে ” আসলে এটি বায়ুবাহিত নয়। এবং তিনি স্পষ্ট করে বলেছিলেন যে নাক বা মুখের ছোট ছোট ফোঁটাগুলির মাধ্যমে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে তা আবার আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি বা শ্বাস ছাড়লে ছড়িয়ে পড়ে। এই চিন্তাভাবনা অনুসারে, কাশি এবং শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে বাহির হওয়া ভাইরাস কণাগুলো আকারে বেশ বড়ো আর ভারী, সুতরাং এগুলি মূলত ২ মিটারের কাছের কাউকে অনুসরণ করে। অথবা ওই কণা গুলো কোনও পৃষ্ঠের উপর পড়ে এবং নিদিষ্ট সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকে যেখান থেকে তারা পরে স্পর্শের মাধ্যমে কারও শরীরে স্থানান্তরিত করে সংক্রমণ সৃষ্টি করে । টেড্রোসের মতো জনস্বাস্থ্য কর্মীর মতে, সত্যিকারের বায়ুবাহিত একটি ভাইরাস হ’ল বাষ্পের মতো এটি বহু সময়কাল বাতাসে ঘুরে বেড়ায়, যেমন হামের মতো, যা বাতাসে সংক্রামক হিসাবে ঘুরে বেড়াই। একজন অসুস্থ ব্যক্তি উদাহরণস্বরূপ একটি লিফটে চড়ে এবং পথে কিছুটা ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে। পরে, একই লিফটে উঠে আসা অন্য কেউ ওই জীবাণুতে শ্বাস নিলে ওই রোগ শরীরে চলে যাবে।
কয়েকদিন আগে, জাপানের একদল গবেষক একটি বদ্ধ ঘরের ভেতরে থেকে থেকে বাতাস প্রবাহিত করে তার ভেতর করোনা ভাইরাস ছেড়ে দিয়ে ওই ঘরের বাতাস কিছু ক্ষণ পর পর পরীক্ষা করে দেখেছে যে তিন ঘন্টা পর্যন্ত বাতাসে ভাইরাস গুলো ভেসে থাকতে পারে।