করোনা ভাইরাসের সকল সুনিদ্দিষ্ট লক্ষণ ও করণীয় – Corona Virus Er lokkhon O Koronio
এই রোগের লক্ষণগুলি ব্যাক্তি বিশেষে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে সর্বাধিক লক্ষন গুলো মিলিয়ে এবং চীনের ৫৫,০০০ এরও বেশি রোগীর উপর বিশ্লেষণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২৫ জন ডাক্তার কিছু সম্ভাবনা তুলে ধরেছে। এখানে সর্বাধিক সাধারণ লক্ষণ গুলো যা শতকরা হিসেবে নিম্নে প্রদান করা হলো :
জ্বর দেখা দিয়েছিল : ৮৮% মানুষের মধ্যে
শুকনো কাশি দেখা দিয়েছিল : ৬৮% মানুষের মধ্যে
ক্লান্ত বোধ করেছিল : ৩৮% মানুষ
ঘন কাশি হয়েছিল : ৩৩% মানুষের
শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা ছিল : ১৯ ভাগ মানুষের
হাড় বা জয়েন্টে ব্যথা অনুভব করেছিল : ১৫ ভাগ মানুষ
গলা ব্যথা বোধ করেছিল : ১৪ ভাগ মানুষ
মাথা ব্যথা হয়েছিল : ১৪ ভাগ মানুষের
ঝাকি দিয়ে ঠান্ডা লেগেছিলো : ১১ ভাগ মানুষের
বমি বা বমি বমি ভাব ছিল : ৫ ভাগ লোকের মধ্যে
ডায়রিয়া দেখা দিয়েছিলো : মাত্র ৪ ভাগ মানুষের
কাশির সাথে রক্ত যেত : মাত্র ১ ভাগ মানুষের
চোখ ফুলে গেছিলো : মাত্র ১ ভাগ মানুষের
COVID-19 হ’ল নিম্ন শ্বাস নালীর সংক্রমণ, যার বেশিরভাগ লক্ষণ বুক এবং ফুসফুসে অনুভূত হয়। কাশি একটি উচ্চ শ্বাস নালীর সংক্রমণ।
চীনে যারা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাদের মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ মানুষের মধ্যে ওই লক্ষণ গুলো হালকা থেকে মাঝারি আকারে দেখা গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই ২৫ জন ডাক্তার চীন থেকে ফিরে আরো জানায় যে :-
# সবচে কম সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা শিশুদের
# আক্রান্তদের গড় বয়স ৫১ বছর
# ঘনিষ্ঠ অনিরাপদ সংস্পর্শে ছড়িয়ে পড়ে
# সংক্রমণএ বায়ু বাহিত হিসেবে ধরা হচ্ছে তবে প্রধান মাধ্যম বলে ধরা হচ্ছে না
#দেখা যাচ্ছে যে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংক্রমণ ঘটেছে, তাদের পরিবার থেকে তবে ধীরে ধীরে এটি সামাজিক সম্পর্কেও ছড়িয়ে যাচ্ছে
#করোনা ভাইরাস আগেও ছিলো তবে সেটি এখন আরো শক্তিশালী হয়ে নতুন রূপে মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করা শুরু করেছে, যার বিরুদ্ধে মানুষের শরীরে প্রতিরোধ ব্যবস্থা কম
#ভালো খবর যে ১৮ বছরের নিচে যারা তাদেরকে এই ভাইরাস কম আক্রমণ করছে
#এই ভাইরাস যখন আক্রমণ করে তখন কোনো উপসর্গ ছাড়াই কিছুদিন শরীরে বসে থাকে। সংক্রমণের ৫-৬ দিনের মধ্যে মৃদু শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, কাশি, জ্বর শুরু হতে পারে।
~ ৮১ শতাংশ রোগীর সংক্রমণ ছিল মৃদু থেকে মাঝারি মানের
~ ১৩.৮ শতাংশ রোগী গুরুতর
~ ৬.১ শতাংশ রোগী সঙ্কটাপন্ন
~ ৬০ বছরের বেশি বয়সি এবং যাদের অন্য অসুখ রয়েছে এদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি
যদি আপনি লক্ষণগুলি দেখতে পান তবে আপনার চিকিৎসকের কার্যালয়ে ফোন করুন । ফোন করার আগে কোনো ভাবেই চিকিৎসকের কার্যালয়ে যাবেন না – এটি চিকিৎসকের কার্যালয়ের চারদিকে সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারে। তারা আপনাকে ফোনে বিস্তারিত করণীয় জানাবে।
এ ছাড়াও আপনি অনলাইন এ উপসর্গ গুলি মিলিয়ে দেখতে পারেন