Urine Problem For All/শিশুদের প্রস্রাবের সমস্যা থেকে মুক্তি
আবহাওয়ার কারণে আমাদের দিনগুলো ধীরে ধীরে খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে । সুস্থভাবে বেঁচে থাকাটা যেন এখন স্বপ্ন হয়ে গেছে । এভাবে চলতে থাকলে সামনের দিনগুলো আরো খারাপই হতে থাকবে। তাই এখন থেকেই আমাদের সন্তানদের কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, যাতে করে সে তার সামনের কঠিন পরিবেশের সাথে খাপ খেয়ে চলতে পারে। শিশুদের বিশেষত আড়াই থেকে সাত বছর বয়স পর্যন্ত এই হিসাবে চলাফেরা করলে তার শরীরের বেশকিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং সুস্থ থাকবে। বিশেষত শিশুদের ইউরিন এর ইনফেকশন/ Urine Problem অথবা সম্পূর্ণ হয় না আবার অনেক সময় বাথরুম থেকে চলে এলে সাথে সাথেই আবারো বাথরুমে যেতে হয়, এই সকল Urine Problem/প্রস্রাবের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে আমাদের অভ্যাসগত কিছু ব্যবহারিক জীবনের পরিবর্তন।
প্রতিরোধ প্রতিকার থেকে উত্তম
তাই আমাদের সকলকে বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা উচিত।
প্রাকৃতিক উপায়ে এ সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়:-
প্রথম থেকেই প্রচুর পরিমাণ পানি খাওয়ানো শুরু করতে হবে বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে তিনশত থেকে পাঁচশ গ্রাম পানি খাওয়ানোর চেষ্টা করা উচিত। দুই থেকে তিন ঘন্টা পর পর বাচ্চার প্রস্রাব হওয়া সবচেয়ে স্বাভাবিক বিষয় হিসাবে ধরা হয় তাই সেদিকেও আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে।
বাথরুমের চাপ আসা মাত্রই বাথরুমে যাবার জন্য বাচ্চাকে উৎসাহ দিতে হবে কারণ তারা খেলাধুলা কে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে এবং সেই কারণে অনেক সময় বাথরুমে যেতে দেরি করে অথবা বাথরুম বন্ধ করে রাখে যা স্বাস্থ্যের জন্য চরমভাবে ক্ষতিকর।
প্রস্রাব করার পর টিস্যু ব্যবহার করা শেখাতে হবে। যেন মেয়ে শিশুটি শুকনো অবস্থায় থাকে। মেয়ে শিশুদের ক্ষেত্রে সামনে থেকে পেছনের দিকে টিস্যু দিয়ে মুছতে হবে, আবার বড় বাথরুম করার পর অভিভাবক অবশ্যই পানি সামনে থেকে পেছনের দিকে ধৌত করবে।
সাধারণত শিশুরা খুব দ্রুত বাথরুম শেষ করে বেরিয়ে আসে, কারণ তারা খেলা ছাড়তে চায় না। সেই ক্ষেত্রে ইউরিন এর কিছু অংশ মূত্রথলিতে জমা থেকে যায়, যা ইনফেকশন ঘটাতে চেষ্টা করে। তাই বাচ্চাদেরকে সবসময় বেশি সময় ধরে বাথরুম করতে শেখানো উচিত। যা ইউরিন এর সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে।
সুগন্ধি সাবান ব্যবহার করা উচিত, তবে সেই সাবান নয়, যেটি তাদের জন্য জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে।
এমন খাবার ও পানীয় গুলো এড়িয়ে চলা উচিত যা মূত্রাশয় এ জ্বালাপোড়া সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কোলড্রিংস এর ভিতর অন্যতম তাছাড়াও ক্যাফেইন জাতীয় খাবার উল্লেখযোগ্য।
স্কুলে সুতির হালকা প্যান্ট অথবা পায়জামা ব্যবহার করা, যেন সে সহজেই তা ব্যবহার করতে পারে।
বিভিন্ন ধরণের ঘরে তৈরী ফলের জুস আমাদের সকলেরই খাওয়ার অভ্যাস করা উচিৎ তা ছাড়াও পুদিনা পাতা, লেবু, ধনেপাতা, মধু, তুলসী পাতা বা এলোভেরার জুস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে শুধু Urine Problem/প্রস্রাবের সম্যসায় নয় শরীরের বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগ থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।
শিশুকে কোন অবস্থায় ভয়-ভীতি দেখানো যাবে না। এতে করে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে যা ভবিষ্যৎ জীবনে শিশুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের উপর প্রভাব ফেলবেই। শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য আরো বিস্তারিত জানতে পড়তে পারেন।
বাবা ও মার উচিৎ সন্তানের সকল কথা মন দিয়ে শোনা , অনেক বেশি শব্দে তার সাথে ও সামনে হাসা হাসি করা এবং সন্তানের সাথে বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা আর তার প্রতিটা পদক্ষেপ বিশ্লেষণ করা তবে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে বা তার মনে কষ্ট দিয়ে নয়।
আমরা আবারও বলছি, পানি খাওয়া সুস্থ থাকার একটি অন্যতম পথ। কারণ শরীরের ভেতরের ক্ষতিকারক জীবাণু গুলো বাথরুমের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
তবে যখন ব্যাধি এসে শরীরে উপস্থিত হয়, তখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত, চিকিৎসকই বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত দিবে কি করতে হবে।
যদি চিকিৎসক কোন এন্টিবায়োটিক প্রদান করে, তবে তার কোর্সটি অর্থাৎ যে কয়দিন চিকিৎসক খেতে বলবে, সুস্থ হয়ে গেলেও সেই কটা দিন ওই এন্টিবায়োটিক খেয়ে যেতে হবে। তা না হলে ওই জীবাণু শরীরের ভেতর অল্প পরিমাণে বেঁচে থাকবে এবং ওই অল্প পরিমাণ জীবানু ওই এন্টিবায়োটিক থেকে কিভাবে নিজেদেরকে নিরাপদ রাখা যায় তা শিখে ফেলবে এবং আজীবন শরীরের ভেতর বংশবিস্তার করতে থাকবে। ২০৫০ সাল নাগাদ এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হওয়ার কারণে মৃতের সংখ্যা প্রতি বছরে ১০ কোটিতে উন্নীত হতে পারে। দয়া করে এটা পড়তে পারেন Ghana Declaration: Call-to-Action on Antimicrobial Resistance.